বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (জেনারেল) পদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময়সূচি ও পরীক্ষাকেন্দ্র প্রকাশ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (জেনারেল) পদের প্রিলিমিনারি এমসিকিউ পরীক্ষার সময়সূচি ও পরীক্ষাকেন্দ্র প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এটি বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২-এর মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এটির কার্যনির্বাহী প্রধান গভর্নর হিসাবে আখ্যায়িত। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি রেগুলেটরি সংস্থা এবং কার্যতঃ ব্যাংকসমূহের ব্যাংক।রাষ্ট্রের পক্ষে এটি দেশের ব্যাংক এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

দেশের মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিরূপিত ও পরিচালিত হয়। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল সংরক্ষণ করে থাকে।

এছাড়া এটি বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশী টাকার বিনিময় হার নির্ধারণ করে।

১ টাকা, ২ টাকা এবং ৫ টাকার কাগুজে নোট ব্যতীত সকল কাগুজে নোট মুদ্রণ এবং বাজারে প্রবর্তন এই ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব।

এছাড়া এটি সরকারের কোষাগারের দায়িত্বও পালন করে থাকে।

সহকারী পরিচালক (জেনারেল) পদের এমসিকিউ পরীক্ষা ১২ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর ৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।

প্রবেশপত্র ছাড়া কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না।

পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশপত্র ছাড়া কোনো কাগজ, ফোন, ক্যালকুলেটর বা অন্য কোনো ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৫০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে।

প্রার্থীদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোভিড-১৯–সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

মাস্ক পরিধান ছাড়া কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জয় লাভের পর বাংলাদেশ সরকার ঢাকায় অবস্থিত স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের ঢাকা শাখাকে বাংলাদেশ ব্যাংক নাম দিয়ে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২’ পাশ হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে কার্যকর বলে ঘোষণা করা হয়।

১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার সমাজতান্ত্রিক ব্যাবস্থার আদলে অর্থনীতিকে গড়ে তোলার লক্ষে এবং যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত দেশের উন্নয়নার্থে পর্যাপ্ত তহবিল সরবরাহের উদ্দেশ্যে সকল ব্যাংককে জাতীয়করণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংককে বিজাতীয়করণ করে এবং বেসরকারী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়। ব্যাংকিং খাতকে পুনর্গঠন, খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ এবং বেসরকারী পর্যায়ে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষে ১৯৮৬ সালে ন্যাশনাল কমিশন অন মানি, ব্যাংকিং এন্ড ক্রেডিট নামে একটি কমিশন গঠন করা হয়। যদিও এরপরও ব্যাংকিং খাত দক্ষ ও কার্যকর হয়ে উঠতে সক্ষম হয়নি।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির মুদ্রা

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার বিভিন্ন মুদ্রায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ব্যবহার করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মহিদুল হক কারেন্সি বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী পরিচালক হিসেবে বঙ্গবন্ধু সিরিজের নোট করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে নোটের সিরিজ করার ব্যাপারে তিনি টাঁকশালের এমডির সঙ্গে একান্তে মিটিং করে তৎকালীন গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেন।

চৌধুরী মহিদুল হকের নির্দেশনায় টাঁকশালে ডিজাইন, নোটের নকশা, কীভাবে নকশা করতে হবে, তার কাজ শুরু হয়। তৎকালীন একজন ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে ডিজাইন অ্যাডভাইজারি কমিটি গঠন করা হয়।

এই কমিটিতে দেশের প্রখ্যাত আর্টিস্টরা ছিলেন। সবশেষে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়। বর্তমানে বাজারে ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট প্রচলিত আছে।

এগুলোয় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি রয়েছে। এছাড়া বাজারে প্রচলিত ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েনেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি রয়েছে।

পরীক্ষার বিস্তারিত:

nov072021_bb_79

আরো বিভিন্ন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন প্রতিদিন এবং সাথেই থাকুন।

আমাদের মডেল টেস্ট প্রোগ্রামে অংশ নিনঃ

 Model: